আরফাতুল মজিদ:

পর্যটকদের আকর্ষণ ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ট্যুরিষ্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ট্যুরিষ্ট পুলি„শের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় করা হয়েছে। তারা সমুদ্রসৈকত এলাকা আরো সুন্দর করতে চাই। বিদেশিদের জন্য আলাদা ঝাউবন ও সৈকত নির্ধারণের প্রয়োজনও রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিললুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বি, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী, প্রথম আলো কক্সবাজারস্থ নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল কুদ্দুস রানা, ইত্তেফাকের কক্সবাজার প্রতিনিধি মো. জুনাইদ, এসএ টিভির আহসান সুমন, ভোরের কাগজের ছৈয়দুল কাদের, বিডি নিউজের শংকর বড়ুয়া রুমি, জি টিভির ওমর ফারুক হিরু, পূর্বকোণের আরফাতুল মজিদ, সকালের কক্সবাজারের আজিম নিহাদ ও আজকের কক্সবাজারের মুহিবুল্লাহসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার জিললুর রহমান বলেন, পর্যটকদের আকর্ষন করতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। সৈকত এলাকাকে আরো সুন্দর করা প্রয়োজন। তৎমধ্যে বিদেশি পর্যটকদের জন্য আদালা সৈকত ও ঝাউবন নির্ধারণ করা। এছাড়া সৈকত কেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ। সৈকত তীরের রাস্তায় গাড়ি গুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করানো।

তিনি বলেন, লাবণী পয়েন্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সৈকতটি অনেক আকর্ষণ ও সুন্দর। একপাশে ঝাউবন অন্যপাশে সাগর। পর্যটকরা ওখানে গিয়ে নিজের মতো করে বেড়াতে ও ঘুরে আনন্দ নিতে পারে। পর্যটকদের নিরাপত্তা আরো বাড়ানোর জন্য পরিতক্ত্য ওয়াচ টাওয়ার এবং নতুন করে বিভিন্ন পয়েন্ট আরো ওয়াচ টাওয়ার স্থাপনা করা। যাতে কোনো পর্যটক যেকোনো সহযোগিতার জন্য দ্রুত সময়ে ওয়াচ টাওয়ারে এসে সহযোগিতা নিতে পারে। সৈকতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবারও প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া ঝাউবনের নির্দিষ্ট অংশের পর পর লাইটিং করলে সৈকত আরো সুন্দর হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বি বলেন- বর্তমানে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কিছুটা পর্যটনের উপর প্রভাব পড়েছে। অনেকেই ফোন করে জানতে চাই কক্সবাজারে বেড়াতে আসা যাবে কিনা। রোহিঙ্গা নিয়ে কোনো সমস্যা আছে কিনা। নিরাপত্তা কেমন হবে। বর্তমানে সেন্টমার্টিন ভ্রমণও বন্ধ রয়েছে। অনেক পর্যটক সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। বর্তমানেও আসছে অনেকেই। কিন্তু সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। অনেকেই হোটেলে বুকিংও দিয়েছে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য। কিন্তু যেতে পারছে না। আগামী ডিসেম্বরে পর্যটকদের আগমন বেশি হবে বলে তিনি জানান।

সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, একসময় সৈকত এলাকায় সন্ধ্যার পর ভ্রমন করা যেত না। অনেকেই রাত ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ভ্রমন করতো। কিন্তু এখন ২৪ ঘন্টা সৈকতে ভ্রমণ করা যাচ্ছে। রাত ২টা থেকে ৪ টা পর্যন্তও পর্যটকরা সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘুরছে। সবসময় ট্যুরিষ্ট পুলিশ সৈকতে বিচরণ করছে। ঝাউবনেও পুলিশের তিনটি টিম টহল দেয় নিয়মিত। বর্তমানে কোনো ধরণের অনিরাপদ নয় কক্সবাজার সৈকত।